Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

চেয়ারম্যান মোঃ তবারক হোসেনের জীবনী

মোঃ তবারক হোসেন

পিতাঃ মৃত কদম আলী মন্ডল

মাতাঃ মৃত আমেনা খাতুন

গ্রামঃ আঠারখাদা

ডাকঘরঃ আঠারখাদা

উপজেলাঃ আলমডাঙ্গা

জেলাঃ চুয়াডাঙ্গা

 

        মোঃ তবারক হোসেন ১৯৭০ সালের ১৫ই নভেম্বর আঠারখাদা গ্রামের সর্দ্দার পাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন।ছোট বেলা থেকেই তিনি জনদরদি হয়ে উঠেন।অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে সেবা করার ব্রতী নিয়ে ছাত্র জীবন থেকেই তিনি রাজনীতি করে আসছেন।তিনি স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে ১৯৯৮ ইং সালে মেম্বর হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর তিনি জনগণের চাহিদা মতে ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে দাঁড়ান। প্রথম চেয়ারম্যান পদে দাঁড়ায়ে তিনি ভোটে নির্বাচিত না হলেও তিনি হাল ছেড়ে দেননি। পরবর্তীতে ২০১১ ইং সালে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হবার গৌরব অর্জন করেন। নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার উন্নয়নে মনোযোগ দেন। ইউনিয়ন পরিষদের ভবন বিগত চল্লিশ বছর জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। তিনি নির্বাচিত হবার পর ভবনের সংস্কার করেন যা এলাকার মানুষের নজর কাড়ে।

 

    ইউনিয়ন পরিষদের চল্লিশ বছর যাবৎ বিদ্যুতের কোন ব্যবস্থা ছিল না।তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর সৌর বিদ্যুৎ সহ বৈদ্যুতিক মিটারের ব্যবস্থা করেন।বিদ্যুতায়নের ফলে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু হয় নতুন উদ্দোমে যা পূর্বে বন্ধ অবস্থায় ছিল। বর্তমানে এলাকার মানুষ তথ্য ও সেবা কেন্দ্র থেকে ডিজিটাল সেবা পেয়ে উপকৃত হচ্ছে।ভবনের সামনে ডিজিটাল পোষ্টারে সমস্ত গ্রামের নাম ও ইউনিয়ন পরিষদের নাম লিখেছেন।পূর্বে গ্রাম আদালত কাযর্কর ছিল না।তিনি গ্রাম আদালতকে কাযর্কর করেন এবং নিয়মিত গ্রাম আদালত বসান।গ্রাম আদালতের মামলার সমস্ত নথি সংরক্ষনের জন্য তিনি নিজ উদ্যোগে ইউনিয়ন পরিষদের ছবিযুক্ত ফাইল তৈরি করেন এবং প্রতিটি মামলা আলাদা আলাদা ফাইলে সংরক্ষণ করেন। গ্রাম আদালতের  মাধ্যমে সুবিধা বঞ্চিত, অবহেলিত মানুষদেরকে বিচারিক সেবা প্রদান করছেন।এছাড়া সরকারী সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করেছেন।

 

       যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে, বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে যোগাযোগ করেন।ইউনিয়ন পরিষদে নারী নিযার্তন নিরোধ কমিটি গঠনসহ তেরটি স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করেছেন। নিয়মিত প্রতিটি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং তিনি নিজেও সকল সভায় উপস্থিত থাকেন।মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব, কবরস্থান, ক্লাবসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ কমিটির তালিকা ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষণ করেছেন।এছাড়া শিক্ষার হার বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন রকম কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।এমনকি সমাজের উন্নয়নের জন্য তিনি মাসে একদিন স্থানীয় জনগণের সাথে সভায় বসেন।তিনি ২০১৩ সালে গ্রাম আদালত পরিচালনায় শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানের স্বীকৃতি লাভ করেন।

        

সফলতাঃ

·         চল্লিশ বছরের জরাজীর্ণ ভবন মেরামত করেছেন।

·         তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে মানুষকে ডিজিটাল সেবা প্রদান করছেন।

·         গ্রাম আদালত পরিচালনায় শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানের স্বীকৃতি লাভ।

·         পুরাতন ভবনকে নতুন ভাবে সজ্জিত করণ।