উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে বাংলাদেশকে আরো বেশি উন্নত, আরো বেশি গতিশীল এবং আরো বেশি সংবেদনশীল করাই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল লক্ষ¨। বিশেষ বা ব্যক্তি বিশেষে এর ব্যাখ্যা ভিন্ন হতে পারে। একজন ছাত্রের কাছে তার উন্নতমানের শিক্ষা পাবার নিশ্চয়তা, একজন কৃষকের কাছে বাজারের নিশ্চয়তা, একজন রোগীর কাছে দীর্ঘ লাইনে না দাঁড়িয়ে সুচিকিৎসা পাবার নিশ্চয়তা, একজন পেনশনভোগী, একজন মুক্তিযোদ্ধা ও একজন বিধবার কাছে তাদের পেনশনের টাকা টা সময়মতো স্বচ্ছতার সাথে পাওয়ার নিশ্চয়তা অর্থাৎ প্রতিটি মানুষের চাহিদা মতো তার দোরগোড়ায় আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সম্ভাব্য সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সহজেই সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য বর্তমান সরকার যে সময় নির্ধারণ করেছেন তা হচ্ছ ‘ভিশন-২০২১’।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া বর্তমান সরকারের অন্যমত প্রধান নির্বাচনী অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে তুণমূল পযার্য়ে অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন, যা ইউআইএসসি স্থাপনের মাধ্যমে করা সম্ভব। তাছাড়া ইউআইএসসি কাযর্ক্রম সরাকারের তথ্য অধিকার আইন,২০০৯ এর লক্ষ অর্জনেও উলেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এদিকে সরকার World Summit on Information Society(WSIS) Plan of Action-2003 –এর অন্যতম স্বাক্ষরদাতা হিসেবে জনগণের মাঝে তথ্য প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। সরকারের দারিদ্র বিমাচন কর্মসূচির লক্ষ্য অর্জনেও অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। তাই ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ হবে জ্ঞান চর্চা কেন্দ্র এবং একে এলাকার সকল প্রকার উন্নয়ন কর্মকান্ডের কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইউআইএসসি একটি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস