মাননীয়স্পীকার
ড: শিরীনশারমিনচৌধুরী, এমপি
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বর্তমান দশম সংসদের স্পীকার হিসেবে বিগত ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ২৪ রংপুর-৬ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি বিগত নবম সংসদেরও মাননীয় স্পীকার হিসেবে বিগত ৩০ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে শপথ গ্রহণ করেন। ইতোপূর্বে তিনি মহাজোট সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রায় চার বছর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও পরবর্তীতে আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
ড. শিরীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে এল.এল.বি (অনার্স) এবং ১৯৯০ সালে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে এল.এল.এম ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি কমনওয়েল্থ স্কলারশিপ নিয়ে ২০০০ সালে যুক্তরাজ্যের এসেক্স ইউনিভার্সিটি থেকে ‘‘রাইট টু লাইফ'' অর্থাৎ মানুষের জীবনের অধিকার, মানবাধিকার ও সাংবিধানিক আইন বিষয়ে পি.এইচ.ডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের একজন স্বনামধন্য আইনজীবী। তিনি জনস্বার্থ, মানবাধিকার ও সংবিধান বিষয়ক বিভিন্ন মামলা পরিচালনা করেছেন। তিনি বিগত ২০০৮-২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনীত নানাবিধ মামলার পেনেল আইনজীবী ছিলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ব্রাক ইউনিভার্সিটি ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে মানবাধিকার বিষয়ে রিসোর্স পারসন হিসেবে ও কাজ করেন। তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ল রিপোর্ট সিরিজ ‘‘বাংলাদেশ লিগেল ডিসিশনস্ (বিএলডি)’’ এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নারী উন্নয়ন ও মানবাধিকার বিষয়ে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১০ সালে এশিয়া সোসাইটি- ওয়াশিংটন কর্তৃক হিউম্যানিটারিয়ান সার্ভিস এওয়ার্ড লাভ করেন। তিনি মানবাধিকার, অর্ন্তভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে একজন আর্ন্তজাতিক রিসোর্স পারসন হিসেবে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আর্ন্তজাতিক সম্মেলন ও সভায় অংশ গ্রহণ করে আসছেন। তিনি ২০১০-২০১১ সালে কমনওয়েল্থ জেন্ডার চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এর স্বামী বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য ফার্মাসিস্ট (ফার্মাসিউটিক্যাল কনসালটেন্ট)। তিনি দুই সন্তানের জননী। জ্যেষ্ঠা কন্যা সন্তান লামিছা শিরীন হোসাইন (১৯) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েলেসলি কলেজে স্নাতক পর্যায়ে ও কনিষ্ঠ পুত্র সন্তান ইবতেশাম রফিক হোসাইন (১০) বাংলাদেশে সানবিমস্ স্কুলে অধ্যয়নরত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস